আমি কেন AI ব্যবহার করি, কিন্তু AI-এর মতো লিখি না? | Authenticity in the Age of AI
লিখতে বসেছি। কীবোর্ডের ওপর আঙ্গুলগুলো কি স্টাইল করে রাখি সেটা ভাবছি। না। আসলে ভাবছি, এই মুহূর্তে আপনাকে কী বলবো। কীভাবে শুরু করবো। কথাটা সত্যি। প্রায়ই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, "তুমি এত কনটেন্ট তৈরি করো, AI ব্যবহার করো না?" উত্তরের জন্য প্রস্তুত?
I use AI. নিশ্চয়ই করি। প্রতিদিন।
কিন্তু, আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন যে আমার লেখার স্টাইলটা... একটু অন্যরকম? এটা যান্ত্রিক, কাঠখোট্টা, শুষ্ক মনে হয় না। আশা করি না। কারণ আমি একটা জিনিস খুব সচেতনভাবে এড়িয়ে চলি: AI-এর মতো লিখতে চাই না। এটা আমার একটি deliberate choice.
এখানে একটা contradiction আছে, তাই না? AI ব্যবহার করি, কিন্তু তার স্টাইল গ্রহণ করি না। কেন? এটা কি সময়ের অপচয়? আসলে, একেবারেই না। এটাই আমার সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। এবং এই প্রবন্ধে, আমি আপনাকে সেই যাত্রায় নিয়ে যাবো—যেখানে টেকনোলজি এবং হিউম্যানিটি, দুটোই পাশাপাশি হাঁটে। আমার ফিলোসফি সহজ: AI আমার সহকারী, আমার স্পর্শকাতর সহযোগী। সে আমার ভয়েস নয়, আমার কণ্ঠস্বর নয়।
এটা একটা delicate dance. চলুন, এর স্টেপগুলো শিখি।
কেন AI? আমার ডিজিটাল পার্টনার
প্রথমে প্রশ্নটা clear করে নেই। Why do I even use AI?
সাধারণ জবাব: স্পিডের জন্য, আইডিয়া জেনারেশনের জন্য, একটা স্ট্রাকচার পেতে। সত্যি। কিন্তু আমার কারণটা আরেকটু গভীর। দেখুন, আমার মাথায় প্রতিদিন হাজারো ভাবনা ঘুরপাক খায়। একটা খসড়া, একটা outline, দ্রুত বানিয়ে নেওয়া—এসবের জন্য AI-এর জুড়ি নেই। আমি তাকে বলি, "এই টপিকটা নিয়ে কিছু কী-পয়েন্ট দাও তো," অথবা "এই ডাটাগুলোকে একটা প্যারাগ্রাফে বানাও।"
সে দ্রুত দেয়। Efficient. Precise.
কিন্তু এখানেই থামি না। এটা তো শুধু কাঁচামাল। পাথর খণ্ড। স্থপতি আমি। আমার দায়িত্ব এটাকে জীবন্ত ভবনে পরিণত করা। এখানেই আসল কাজ শুরু হয়।
AI-এর স্টাইল কেন "পছন্দ" করি না? The Uncanny Valley of Text
এখন আসি মূল কথায়। AI-এর লেখা পড়লে কি মনে হয়? হ্যাঁ, সঠিক। গ্রামার পারফেক্ট। বাক্যগুলো logically সঠিক। তথ্য থাকতে পারে। কিন্তু... কিছু একটা missing।
এটা ঠিক Uncanny Valley-এর মতো—যেখানে কিছু এতটাই "প্রায় পরিপূর্ণ" যে তা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। AI-এর লেখায় emotion, nuance, personal anecdote, সেই unpredictable twist থাকে না। সে যে কয়েকটা প্যাটার্ন শিখেছে, সেগুলোই বারবার ব্যবহার করে। আপনি পড়তে পড়তে বলে উঠতে পারেন, "আরে, এটা তো চেনা চেনা লাগছে।"
আমি চাই না আপনি আমার লেখা পড়ে সেটা ভাবুন।
আমি চাই আপনি আমাকে চিনুন। আমার ভয়েস শুনুন। আমার excitement, আমার curiosity, আমার occasional frustration—সব কিছুই যেন লেখার line-এর মধ্যে থেকে যায়। কারণ আমরা মানুষ। আমরা story দিয়ে চিন্তা করি। Emotion দিয়ে কানেক্ট করি।
তাহলে কি করি? The Remix Process
এখন বলি, আমি কী করি। AI থেকে একটা ড্রাফট পেলাম। সেটা আমার ক্যানভাস মাত্র।
Step 1: The Voice-Over
আমিপ্রথমেই ভয়েস পরিবর্তন করি। AI-এর নিরেট, নিরপেক্ষ স্টাইলকে আমি আমার কথ্য-চলিত বাংলা এবং ইংরেজির মিশ্রণের দুনিয়ায় নিয়ে আসি। "এটি লক্ষণীয় যে..."-কে বানাই "খেয়াল করেছেন কি?" "Furthermore"-কে বানাই "আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে..."। এটা শুধু ট্রান্সলেশন না। এটা transcreation।
Step 2: বাক্যকে নাচাও
AI দীর্ঘ,জটিল বাক্য পছন্দ করে। আমি সেটা ভাঙি। কেটে দিই।
একটাশর্ট সেন্টেন্স। Impactful.
তারপর আবার লম্বা,গতিশীল একটা বাক্য যেন একটা নদীর স্রোতের মতো—যেখানে পাঠক ভাসতে পারে, চিন্তা করতে পারে। Variation is key. Predictability kills engagement.
Step 3: ঢুকিয়ে দাও 'ট্রিগার'
আসল মশলাএখানে। আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ঢুকাই। যেমন, "গতকাল রাতে কফি খেয়ে এই আইডিয়াটা মাথায় আসলো," অথবা "এটা শুনে আমার প্রথম reaction ছিল, 'বাপ রে!'" এগুলো হিউম্যান টাচ। এগুলো পাঠককে মনে করিয়ে দেয় যে পর্দার ওপাশে একজন প্রাণবন্ত মানুষ আছে।
Step 4: খেলা করো টোনের সঙ্গে
সব লেখার টোন এক হয়?কখনোই না। কখনো বন্ধুত্বপূর্ণ, কখনো উৎসাহী, কখনো reflective। AI টোন বুঝে না। আমি বুঝি। আপনি কখন হাসবেন, কখন একটু থামবেন, কখন লিংকে ক্লিক করবেন—সেটা আমার লেখার ফ্লো দ্বারা কিছুটা পরিচালিত হয়।
Step 5: Fact-Check & Value Boost
AI hallucinate করতেপারে। তথ্য ভুল দিতে পারে। আমি প্রতিটি দাবি, প্রতিটি তথ্য cross-check করি। Google-এর latest policy, SEO-র update—সব মাথায় রাখি। কারণ, আপনার সময় মূল্যবান। আমি যদি কিছু শেয়ার করি, সেটা দরকারি, তথ্যপূর্ণ এবং মানসম্মত হতে হবে। এটা আমার আপনার প্রতি দায়িত্ব।
Emotional Core: কেন এই সংগ্রাম জরুরি?
লেখালেখির এই পদ্ধতি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? একটি কথাই উত্তর: Trust.
আপনি যখন আমার লেখা পড়েন, আপনি শুধু তথ্য চান না। আপনি একটি বিশ্বাসযোগ্য সংযোগ চান। আপনি চান relatable একজন মানুষের কাছ থেকে জানতে। AI-এর বিশুদ্ধ তথ্য আপনি Wikipedia থেকেও পাবেন। কিন্তু আমার perspective, আমার filter দিয়ে দেখাটা আপনি শুধু এখানেই পাবেন।
আমি বিশ্বাস করি, "নিজে জানুন অন্যকে জানান" শ্লোগানের অর্থই হল—জ্ঞানের সাথে নিজের অনুভূতি ও ব্যাখ্যা যোগ করা। না হলে তো তা শুধু তথ্য ফেরি করা হয়।
The Hybrid Harmony: বাংলা + ইংরেজি = আমার ভয়েস
আমি দুই ভাষা মিশাই। কেন? কারণ এটাই আমার প্রকৃত ভয়েস। আমার দৈনন্দিন চিন্তা এভাবেই কাজ করে। কোনো একটি complex টেকনিক্যাল টার্মের জন্য ইংরেজি শব্দটাই সঠিক। আবার, কোনো বিষয়ে মনের গভীর feeling প্রকাশ করতে বাংলাটাই সঠিক মাধ্যম। এটা forced না। এটা স্বাভাবিক। এটা authentic। আর Authenticity-ই আজকের ডিজিটাল বিশ্বের সবচেয়ে দুর্লভ এবং মূল্যবান মুদ্রা।
Call to Action: আপনার পালা
এখন আপনার মনে হতেই পারে, "আমিও তো কনটেন্ট তৈরি করি। আমি কী করব?"
Experiment করুন। শুরু করুন। AI-কে আপনার ব্যক্তিগত assistant বানান। তাকে নির্দেশ দিন। কিন্তু শেষ কাজটা নিজে করুন। আপনার লেখায় আপনার গল্প ঢোকান। আপনার হাসি, আপনার সংশয় ঢোকান।
লিখুন। মুছে ফেলুন। আবার লিখুন। প্রথমে awkward লাগবে। তারপর, নিজের স্বর খুঁজে পাবেন। সেটাই আসল জিনিস।
আর হ্যাঁ, শেয়ার করুন। আপনি যখন কিছু শিখবেন, অন্যকে জানান। আমাদের কমিউনিটিতে জানান। আলোচনা করুন। এভাবেই আমরা একে অপরের সহযোগী হয়ে উঠব।
শেষকথা: মানুষের স্পর্শটাই চূড়ান্ত
একটা গল্প দিয়ে শেষ করি। আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল লিখছিলাম AI-এর সাহায্যে। সে পারফেক্ট ড্রাফট দিল। Grammarly-তে সব গ্রিন মার্ক। কিন্তু পড়ে মনে হল, এটা যেন একটা রোবট অন্য রোবটকে লিখল। তখন আমি ফিরে গেলাম। প্রথম লাইনটা বদলালাম। যোগ করলাম, "আপনার সেই প্রোজেক্টের আপডেটটা দেখে সত্যি ইম্প্রেস হয়েছি।" এটা খুব ছোট একটা লাইন। কিন্তু এই এক লাইনে সংশ্লিষ্টতা এবং প্রশংসা ঢুকে গেল। জবাব এলো দ্রুত, এবং সেটা ছিল warm and positive.
এটাই পার্থক্য তৈরি করে।
টেকনোলজি আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু ব্যবহার নির্ভর করে আমাদের humanity-র ওপর। AI আমাদের সেরা টুল হতে পারে, যদি আমরা আমাদের সেরা human qualities—empathy, creativity, vulnerability—তাড়ান না।
আমি AI ব্যবহার করি কারণ সে আমাকে সময় দেয়। সময় যেন আমি আমার লেখায় আমাকে ঢালতে পারি। আমার পাঠক—যিনি আমার লেখার শেষ শব্দ পর্যন্ত পড়েছেন, তার সাথে একটি meaningful connection গড়ে তুলতে পারি।
সেই কানেকশনটাই তো সবচেয়ে বড় পাওয়া। সেটা কোনও AI দিতে পারবে না। দিতে পারি শুধু আপনি, আর আমি।
তাহলে? লিখতে শুরু করবেন? আমি আপনার সঙ্গেই আছি।
FAQ (প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন)
১. আপনি কোন AI টুল ব্যবহার করেন?
- বিভিন্ন টুল পরীক্ষাকরি—ChatGPT, Gemini, Claude, কখনো কখনো Perplexity রিসার্চের জন্য। কিন্তু কোনোটাকেই "ফাইনাল" লেখার দায়িত্ব দিই না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুল হল আমার নিজের editing এবং judgment.
২. বাংলা-ইংরেজি মিক্স Google-এর SEO-র ক্ষতি করে না?
- না,বরং ভালো করতে পারে যদি organically এবং reader-friendly হয়। Google E-A-T (Expertise, Authoritativeness, Trustworthiness) কে প্রাধান্য দেয়। আপনার authentic voice থাকাটাই সবচেয়ে বড় SEO। ব্যবহারকারী দীর্ঘসময় সাইটে থাকুক, কনটেন্ট সম্পূর্ণ পড়ুক—এটাই গুগল চায়।
৩. AI-এর মতো না লিখলে কি সময় অনেক বেশি লাগে?
- প্রথম দিকেলাগতে পারে। কিন্তু নিজস্ব স্টাইল এবং workflow develop হয়ে গেলে, এটাই সবচেয়ে efficient way হয়ে ওঠে। কারণ rewrite-এর চেয়ে edit করাটা সহজ। আর reader engagement বাড়লে তার মূল্য সময়ের চেয়েও বেশি।
৪. সব ধরনের কনটেন্টের জন্য কি এই পদ্ধতি কাজে লাগে?
- হ্যাঁ,মূলনীতিগতভাবে। একটা টেকনিক্যাল রিপোর্টেও আপনার analysis, recommendation-এর মাধ্যমে আপনার voice আসবে। একটা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও। Depth এবং presentation ভিন্ন হবে,但 humanity থাকবে।
৫. কীভাবে শুরু করবো?
- একটাটপিক নিন। AI দিয়ে একটা বেসিক ড্রাফট বা আউটলাইন তৈরি করুন। তারপর সেটা আপনার নিজের ভাষায় বলুন। রেকর্ড করে ট্রান্সক্রাইব করতে পারেন। অথবা সরাসরি লিখুন, যেন কোনো বন্ধুকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলছেন। প্রথমেই পারফেক্ট চাইবেন না। Authentic হোন।


কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url