OrdinaryITPostAd

আকন্দ পাতার ভেষজ ব্যবহার ব্যথা উপশম, সতর্কতা ও শিশুর ঝুঁকি

আকন্দ পাতার ব্যবহারে ব্যথা উপশম: উপকারিতা, সতর্কতা ও শিশু-গর্ভবতীদের জন্য গাইডলাইন

শরীরের ব্যথা দূর করতে আকন্দ পাতা!

আমার মনে আছে, প্রথমবার যখন শুনেছিলাম একটা পাতার কথা – আকন্দ পাতা, যা নাকি ব্যথা কমাতে পারে – বেশ অবাক হয়েছিলাম। এটা কি সত্যি? শরীরের নানা ব্যথা-মাথাব্যথা দূর করতে একটা গাছের পাতা ব্যবহার হবে, sounds unbelievable, right? কিন্তু কৌতূহল সামলাতে পারলাম না। নিজে জানুন, অন্যকে জানান – এই স্লোগানে দীক্ষিত আমাদের ব্লগের লেখক হিসাবে আমি তো এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতেই পারি!তাই নিজের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করতে নানান জায়গায় খোঁজখবর নিলাম, বই-পত্র থেকে শুরু করে ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখলাম কী বলে এই আকন্দ পাতার গুণ নিয়ে। আর আজ আপনাদের সাথে সেই অভিজ্ঞতার গল্পটা একেবারে কথোপকথনের ঢঙে শেয়ার করতে বসেছি... চলুন শুরু করি। (আশা করছি, আপনারা পাশে থাকবেন পুরোটা সময়।) আকন্দ গাছের সাদা তারকা-আকৃতির ফুল এবং মোটা সবুজ পাতা উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। রাস্তার ধারে যেসব আগাছা জন্মায়, অনেক সময় সেসবের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে এই আকন্দ গাছ। ইংরেজিতে একে বলা হয় “Crown Flower”, আর বৈজ্ঞানিক নাম Calotropis giganteabn.wikipedia.orgcommons.wikimedia.org
শুনতে বেশ লাগে, তাই না? দেবতার পুজোয় লাগে এই গাছের ফুল – শিবঠাকুরের খুব প্রিয় বলেই কথা! তাই শিবরাত্রির সময়ে গ্রামের দিকে আকন্দ ফুলের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। কিন্তু শুধু পুজোতেই না, এই গাছের পাতার আছে যুগে-যুগে সঞ্চিত বেশ কিছু ভেষজ ব্যবহার। বিশেষ করে গ্রাম্য লোকজন যুগ যুগ ধরে ব্যথা-বেদনা উপশমে আকন্দ পাতা ব্যবহার করে আসছেনbangla.aajtak.in। আধুনিক ডাক্তারি বিজ্ঞানের যুগে অনেকেই এসব ভুলতে বসেছি আমরা (আমি নিজেই তো জানতাম না এটা এত কাজে লাগে!), তাই আজ নতুন করে জেনে নিলাম এবং আপনাদেরও জানাচ্ছি – কীভাবে আকন্দ পাতা সত্যি সত্যি শরীরের ব্যথা কমাতে পারে, কীভাবে নিরাপদে ব্যবহার করবেন, আর কারা ব্যবহার করবেন আর কারা করবে না ইত্যাদি সব কিছু। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, keep reading – কিছু চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসতে পারে!

আকন্দ পাতা কীভাবে ব্যথা কমায়?

সত্যি বলছি, প্রথমে আমারও বিশ্বাস হয়নি যে একটা পাতা গরম করে লাগালেই অনেক দিনের ব্যথা ভাগবে। ভাবছেন কী করে কাজ করে এটা? চলুন দেখি। আকন্দ পাতায় আছে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান, যেগুলো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে – অর্থাৎ এটি প্রাকৃতিক painkiller-এর মতো কাজ করতে পারেeasyayurveda.com,easyayurveda.com। যখন আপনি এই পাতা একটু গরম করে ব্যথার জায়গায় লাগান, তখন দুইভাবে উপকার মেলে: একদিকে গরম সেকের উত্তাপ রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, আর অন্যদিকে পাতার ভেতরের ওষধিগুণ ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হয়ে জায়গাটা آرام দিতে থাকে। বহু প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি_medical_ সিস্টেমে আকন্দকে বেদনা উপশমকারী ভেষজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছেplanetayurveda.com। ভাবুন একবার, চরক সংহিতা পর্যন্ত এই গাছকে "বেদনিয়" শ্রেণিতে ফেলেছে – অর্থাৎ যাদের গুণ ব্যথা উপশম করা! গ্রামবাংলার লোকজ চিকিৎসায়ও এ গাছের কদর কম নয়। কেউ হাত-পা মচকে ফেললে বা কোমর ধরে এলে, গ্রামের মুরব্বীরা আজও বলে ওঠেন: “আকন্দ পাতা গরম করে সেক দে, ব্যথা সেরে যাবে” – কথাটা কিন্তু মোটেও ভুল নয়। বাস্তবেও মচকানো বা চোট পাওয়া জায়গায় আকন্দ পাতার গরম সেক দিলে ব্যথার উপশম মেলেbangla.aajtak.in

আমার একজন আত্মীয় তো দাবি করেন, ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে তিনি আকন্দ পাতার সেক নিয়েছিলেন আর মিনিট দশেকের মধ্যেই নাকি দশ দিন ধরে ভোগানো ব্যথা অনেকটা কমে গিয়েছিল! সত্য-মিথ্যা জানি না, কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবেও দেখা গেছে যে টানা কয়েকদিন এই পাতা দিয়ে গরম সেক দিলে ফুলে যাওয়া বা প্রদাহ অনেক কমে যায়easyayurveda.com। আসলে পাতাটিতে Anti-inflammatory (প্রদাহ-নাশক) প্রভাব আছে, যা গাঁটের ব্যথা বা মাংসপেশির ব্যথার উপশমে কাজে লাগে। আমি তো এত কথা শুনে অবাক – একটা সাধारण আগাছা টাইপের গাছ এত গুণাগুণ নিয়ে বসে আছে! ভাবতেই হয়, Nature is mysterious, তাই না?তবে এখানে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখা জরুরি: এই পাতা কাজ করে মূলত বাহ্যিক ব্যবহারেই, মানে ত্বকের উপর লাগিয়ে। আপনি এটি খাবেন না বা রস চিবিয়ে খাবেন না – ওভাবে খেলে কিন্তু উপকারের চেয়ে অপকারই হবে, নিচে সেই বিষয়েও আসছি। আগে চলুন জেনে নিই কীভাবে নিরাপদে আকন্দ পাতা ব্যবহার করা যায়।

আকন্দ পাতা ব্যবহার করার নিরাপদ পদ্ধতি

আকন্দ পাতা দিয়ে ব্যথা কমাতে হলে নিরাপদভাবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে এটি প্রয়োগ করতে হবে, নাহলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে। আমি যখন ব্যবহার শেখার চেষ্টা করছিলাম, একজন অভিজ্ঞ কাকু আমাকে সুন্দর করে স্টেপ বাই স্টেপ শিখিয়ে দিলেন। আপনাদের জন্য সেই নিরাপদ পদ্ধতিটা এখানে শেয়ার করছি:
  • সঠিক পাতা নির্বাচন: প্রথমে একটি সতেজ সবুজ আকন্দ পাতা বেছে নিন। খুব বুড়ো বা ক্ষতযুক্ত পাতা নেবেন না। মাঝারি বা বড় আকারের স্বাস্থ্যবান পাতাই ভালো। পাতা গাছ থেকে ছিঁড়লে সাদা দুধের মত আঠা বেরোয়, সাবধান – সরাসরি হাতে লাগাবেন না (আমি কিন্তু গ্লাভস পরে নিয়েছিলাম নিরাপত্তার জন্য, আপনিও পারেন)।
  • পাতা পরিষ্কার করা: পাতাটা পরিষ্কার পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিন যাতে ময়লা ধুলা থাকে না। পাতার দুই পৃষ্ঠ ভালো করে ধুইয়ে নিতে হবে। এতে অবাঞ্ছিত জীবাণু দূর হবে। ধোয়ার সময় পাতার ডাঁটা থেকে আঠালো দুধ বের হতে পারে, সেটা পানি দিয়ে ঝরিয়ে নিন সতর্কভাবে।
  • সরিষার তেল লাগানো: এটি একটি পুরনো ঘরোয়া টিপস – পাতার মসৃণ পাশে (যেটা ব্যথার গায়ে লাগাবেন সেই দিক) একটুড়ি সরিষার তেল মেখে নিন ibnsinahealthcare.com.। কেন তেল? সরিষার তেল পাতার কিছু উপাদান ভালোভাবে নিঃসৃত হতে সাহায্য করে এবং ত্বকের জন্য একটা সুরক্ষার স্তর দেয়, যাতে পাতার কাঁচা রস সরাসরি ত্বকে লেগে কোন জ্বালা না করে।
  • পাতা গরম করা: এবার একটা ছোট তাওয়া বা ফ্রাইপ্যান হালকা আঁচে গরম করুন। পাতাটি প্যানের ওপর দিন এবং অল্প একটু সেঁকে নিন। মাত্র কয়েক সেকেন্ড – দেখবেন পাতাটা একটু নরম হয়ে আসছে। বেশি গরম করবেন না যেন পাতা পুড়ে না যায়, শুধু কুসুম গরম হলেই যথেষ্ট। (আমি ব্যক্তিগতভাবে চুলার আঁচ কমিয়ে তার ওপর পাতাটা ৫-৬ সেকেন্ড ধরে উল্টে-পাল্টে সেঁক দিয়েছি। একটা মনগড়া থার্মোমিটারে বলতে পারেন পাতাটা সহ্য করার মতো গরম হলেই হবে।)
  • প্রয়োগ বা সেক দেওয়া: এবার এই গরম পাতাটি আস্তে করে আপনার ব্যথাযুক্ত জায়গার উপর ধরুন। পাতার তেল মাখানো মসৃণ দিকটা ত্বকের সাথে লাগান। সাবধান, খুব গরম অবস্থায় সরাসরি লাগাবেন না, হাত দিয়ে আগে একটু তাপমাত্রা পরীক্ষা করে নেবেন (আমি কিন্তু আগুন থেকে নামিয়ে ৫-৬ সেকেন্ড অপেক্ষা করেছিলাম)। ব্যথার জায়গায় পাতা রেখে হালকা চাপ দিয়ে সেক দিন। চাইলে পাতাটা ওই জায়গায় বেঁধেও রাখতে পারেন পরিষ্কার কাপড় দিয়ে, যাতে তাপটা কিছুক্ষণ ধরে থাকে। গরম থাকার সময়টা পুরোটা সেক দিন, পাতা ঠান্ডা হয়ে এলে খুলে নিতে পারেন।
  • সময় ও মাত্রা: দিনে ১-২ বার এইভাবে আকন্দ পাতার গরম সেক দেওয়া যায়, পরিস্থিতি অনুযায়ী। সাধারণত সকালে ও রাতে দুইবেলা দিলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। আপনার ব্যথার তীব্রতা অনুযায়ী ৫-৭ দিন বা প্রয়োজন হলে তারও বেশি দিন এই চিকিৎসা চালাতে পারেন easyayurveda.com। যেমন ধরুন গাঁটের পুরনো ব্যথা হলে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একবার করে সেক দিন, এক সপ্তাহ পর বেশ পার্থক্য টের পাবেন বলে লোকজন দাবি করে। তবে একটানা অনেকক্ষণ সেক দেবেন না, প্রতিবার ১০-১৫ মিনিট যথেষ্ট – পাতা ঠান্ডা হয়ে গেলে বুঝবেন সেক শেষ।
এই পদ্ধতিতে আমি নিজেও কিছুদিন আগে মৃদু কোমর ব্যথার জন্য প্রয়োগ করে দেখেছি। মনে হলো সত্যিই একটু আরাম পাচ্ছি… হতে পারে প্লাসিবো ইফেক্ট, কিন্তু ব্যথা যখন কমেছে তখন কারণ যাই হোক, আমি খুশি। তবে হ্যাঁ, সকলের শরীর সমান নয় – কারো কারো ত্বক একটু সেনসিটিভ হতে পারে। তাই প্রথমবার ব্যবহার করতে গেলে মিনিট পাঁচেক লাগিয়ে দেখুন, ত্বকে লালচে বা অস্বস্তি লাগলে তখনই সরিয়ে ফেলুন। আবার যদি দেখেন কোনো সমস্যা নেই, তাহলে নির্ভয়ে পরবর্তী ধাপগুলো করুন। আর অবশ্যই মনে রাখবেন, কখনোই আকন্দ পাতা কাঁচা চিবিয়ে খাবেন না বা এর রস খাবেন না – সেটা করা পুরোপুরি নিষেধ। এই পাতার রস ভিতরে গেলে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে, যা আমরা একটু পরেই বিস্তারিত আলোচনা করছি। আপাতত বাহ্যিক ব্যবহার নিয়েই থাকুন।

গরম করে আকন্দ পাতা লাগানোর সঠিক সময় ও পরিমাণ

অনেকে জানতে চান, কখন সেক দিলে সবচেয়ে ভালো কাজ হয়? আর কতখানি পাতা ব্যবহার করব? – এসব ব্যাপারে আমার নিজের অভিজ্ঞতা আর গবেষণা থেকে বলি। আসলে নির্দিষ্ট করে “সকাল-বিকাল ঠিক এই সময়ে লাগাতে হবে” এমন কোনো কঠিন নিয়ম নেই। তবুও কিছু টিপস ভাগ করে নিচ্ছি, যাতে আপনি সর্বোচ্চ ফল পান।
  • রাতে শোবার আগে দেয়া: আমার অভিমত, রাতে ঘুমোনোর আগে যদি আকন্দ পাতার সেক দেন, তাহলে অনেকটা সময় পেশীগুলো রিল্যাক্স অবস্থায় থাকে এবং পাতার গুণাগুণ কাজ করার সুযোগ পায়। আমি যখন কোমরে লাগিয়েছিলাম, রাতেই দিয়েছিলাম – সকালে তুলনামূলকভাবে ফ্রেশ লেগেছে। দিবাভাগে আমরা নড়াচড়া করি, ফলে হয়তো ততটা আরাম টের না-ও পেতে পারি। তাই রাতে দেওয়া একটা বুদ্ধিমানের কাজ। তবে দিনে ব্যথা বেশি হলে দিনে বা বিকেলে দিয়েও দেখতে পারেন।
  • পাতার পরিমাণ: একবারে একটি পাতাই যথেষ্ট সাধারণত একটি জায়গার ব্যথার জন্য। যেমন গোড়ালি মচকালে একটা বড় আকন্দ পাতা পুরো গোঁড়ালির চারপাশ ঢেকে সেক দেওয়া যায়। খুব বড় এলাকায় ব্যথা হলে ২-৩টা পাতা আলাদা গরম করে পাশাপাশি ধরতে পারেন। কিন্তু প্রচুর পাতা একসাথে লাগানোর দরকার নেই – এতে ত্বকে খুব বেশি পরিমাণ রস লেগে যেতে পারে যা নিরাপদ নয়। অল্পে কাজ না হলে বরং দিনে দু’বার ব্যবহার করুন, কিন্তু একবারে অনেকগুলো পাতা দিয়ে শরীর মোড়ানোর চেষ্টা করবেন না প্লিজ।
  • সঠিক তাপমাত্রা ও সময়: পাতাটা ঠিক কতোটা গরম করবেন আর কতক্ষণ লাগিয়ে রাখবেন তার ধারণা আগের অংশেই দিয়েছি। পুনরায় বলি, এমন গরম করবেন যাতে ত্বকে ফোস্কা না পড়ে – হালকা সেঁকা মাত্র। সাধারণত পাতাটি ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখা যায় (প্রায় ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে ঠাণ্ডা হতে)। খুব বেশি ব্যথা হলে ঠাণ্ডা হয়ে গেলে নতুন আরেকবার গরম করে আবার সেক দিতে পারেন। কিন্তু একনাগাড়ে ঘন্টাখানেক সেক দেবেন না – এতে ত্বক বিপদে পড়তে পারে।
এগুলো ঠিক আমার নিজের observations, তার সাথে স্থানীয় কয়েকজন বৈদ্য-হাকিমের পরামর্শের মিশ্রণ। আপনারা প্রয়োজন ও সুবিধা মতো অ্যাডজাস্ট করে নেবেন। মূল কথাটা হলো: অতিরিক্ত কিছুই করা যাবে না, ধীরে সুস্থে নিয়মিত করতে হবে। মনে রাখবেন – হার্বাল চিকিৎসা ধৈর্যের ব্যাপার, একবার দিয়েই ম্যাজিকের মতো সব ব্যথা উধাও আশা করবেন না। তিন-চার দিন ধৈর্য ধরে অনুসরণ করলে তবেই ফল টের পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ্‌। আরো একটা কথা – অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, আকন্দ পাতার রস মালিশ করলে চলবে কি না? অর্থাৎ পাতা গরম না করে ভেঙে এর লতাযুক্ত সাদা রসটা (যাকে latex বলে) আক্রান্ত স্থানে লাগানো যায় কিনা। আমার জানা অনুযায়ী, সরাসরি আঠা লাগানো ঠিক নয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। কারণ ওই সাদা কষ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ত্বকে জ্বালা-পোড়া করতে পারেeasyayurveda.com। দাঁতের ব্যথার ক্ষেত্রে অবশ্য পুরনো দিনে তুলায় ভিজিয়ে সামান্য কষ দাঁতের গোড়ায় লাগানোর প্রচলন ছিলbangla.aajtak.in– সেটা মুখের ভেতরে করলেও খুব অল্প পরিমাণে করা হতো এবং পরে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলা হতো। তাই মালিশ-মাখামাখির চেয়ে বরং পাতার মাধ্যমেই সেঁকে নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি। এতে কিছুটা আঠার গুণ অবশ্যই ত্বকে পৌঁছাবে, আবার সরাসরি লাগানোর ঝুঁকিও থাকবে না। সুতরাং Please, do not apply raw latex সরাসরি স্কিনে বা কোথাও – পাতার প্রাকৃতিক প্যাকেজিংয়ের ভিতর দিয়েই লাগতে দিন।

আকন্দ পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা

এবার আসি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে – পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সতর্কতা। যতই এটা প্রাকৃতিক হার্বাল জিনিস হোক, এরও কিছু side effects আছে এবং কিছু ব্যাপারে ভীষণ সাবধান থাকা দরকার। বরং দ্বিধাহীনভাবে বলে ফেলি, আকন্দ গাছটা বিষাক্ত গাছ! হ্যাঁ, ভুল শুনেননি – এই গাছের পাতা, ফুল, মূল, ছাল সব অংশেই একধরনের বিষাক্ত উপাদান থাকেbn.wikipedia.org। বিশেষ করে এর দুধের মতো সাদা কষ (latex) তো এতটাই শক্তিশালী যে এটা প্রচণ্ড বেগে বমি ও পাতলা পায়খানা করাতে পারে, গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাত ঘটিয়ে দিতে পারে, ছোট শিশুর জন্য তো প্রাণঘাতীও হতে পারেbn.wikipedia.org!

তাই এটাকে খেলোভাবে নেওয়ার কিছু নেই। সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে কিন্তু বিপদ অবধারিত। আমার এই লেখার লক্ষ্যও এটাকে glamorous করে দেখানো নয় – বরং যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে কীভাবে এর সুফল পাবেন সেটা শেয়ার করা। এখন চলুন দেখে নেই কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে আর কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:

  • কখনোই মুখে খাবেন না: আকন্দ পাতার সবচেয়ে বড় সতর্কতা – এটি কাঁচা খাওয়া যাবে না বা এর রস পান করা যাবে না bangla.aajtak.in। কেউ কেউ ব্লাড সুগার কমাতে বা অন্য উদ্দেশ্যে খাওয়ার কথা বলে, কিন্তু সরাসরি খাওয়া বিপজ্জনক। পেটে গেলে প্রচণ্ড বমি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া হতে পারে এবং শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারেpediatriconcall.com। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে খিচুনি পর্যন্ত হতে পারে, এমনকি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটার আছেpediatriconcall.com। সুতরাং Never ever ingest এই plant-এর কোনো অংশই। খাবার ক্ষেত্রে “অনেক হয়েছে” – এবার বাদ দিন।

  • চোখে লাগানো যাবে না: আকন্দের কষ চোখে লাগলে মারাত্মক জ্বালা এবং ইনফেকশন হতে পারেbangla.aajtak.in। চোখ লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে, সাময়িক দৃষ্টিহানিও ঘটতে পারে বলে ডাক্তাররা জানানwebmd.com। তাই পাতায় হাত দেওয়ার পর ভুলেও চোখ চুলকাবেন না। আর পাতার রস বের হলে দূরে থাকুন যাতে চোখে না যায়। যদি দুর্ঘটনাক্রমে চোখে লেগে যায়, সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুতে থাকবেন এবং দ্রুত চোখের ডাক্তার দেখাবেন।

  • ত্বকে অ্যালার্জি: অনেকে ত্বকে সরাসরি আকন্দ পাতার রস বা আঠা লাগানোর পর দেখেছেন যে সেই স্থানে লালচে ফোসকা বা rashes বের হয়েছেpediatriconcall.com। কারণ এর latex খুব caustic (দাহকারী)। আমি ইতিমধ্যে বলেছি কেন সরাসরি না লাগানো ভালো। তাই সতর্কতা: ত্বক সংবেদনশীল হলে আগে একটু টেস্ট করুন, কোনো জ্বালা-চুলকানি হলে ব্যবহার বাদ দিন। স্বাভাবিক ত্বকে সাধারণত পাতার ওপর সরিষার তেল মাখিয়ে গরম সেক দিলে অসুবিধা হয় না। তবু কেউ কেউ পার্সন টু পার্সন ভিন্ন রিয়্যাক্ট করতে পারেন – অ্যালার্জি থাকলে দুরে থাকুন।

  • মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নয়: প্রতিদিন অল্প সময় করে ব্যবহার করা যায়, কিন্তু সকাল-দুপুর-বিকেল-রাত মিলিয়ে খুব ঘনঘন সেক দেবেন না বা অনেকক্ষণ ধরে দেবেন না। অতিরিক্ত ব্যবহারে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেনfacebook.com
    instagram.com। এক সাথে খুব বেশি পাতার রস শরীরে প্রবেশ করলে (চামড়ার মাধ্যমেও কিছুটা শোষিত হয়) বিষ জমে যেতে পারে। তাই সাবধানে, কম পরিমানে, প্রয়োজন অনুসারেই ব্যবহার করুন। “অনেক বেশি ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ভালো হবে” – এই ভুল ধারণা করবেন না যেন!

  • খোলা ক্ষতে ব্যবহার নয়: আপনার ব্যথা যদি এমন জায়গায় হয় যেখানে কাটা-ছেঁড়া বা খোলা ক্ষত আছে, সেখানে এই পাতা লাগাবেন না। আকন্দ পাতা সেদ্ধ জল দিয়ে ক্ষত ধোয়ার একটা ঘরোয়া টোটকা আছে ঠিকইbangla.aajtak.in, কিন্তু সেটা করতে গেলেও খুব সাবধানে করতে হয় এবং ছোটখাটো ক্ষত হলে তবেই করতে হয়। গভীর বা ইনফেকটেড ক্ষতে লাগালে উল্টো ইনফেকশন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। খোলা চোখে বা মুখের ভেতরেও লাগাবেন না (দাঁতের জন্য প্রয়োগটা আলাদা – সেখানে খুব লক্ষ্য করে দাঁতের গোড়ায় দেয়া হয়, পুরো মুখে ছড়ানো নয়)। মোট কথা, যেখানে সরাসরি রস শরীরের ভিতরে যেতে পারে এমন জায়গায় এই পাতার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

সতর্কতার কথা পড়ে যদি মনে হয় “উফ্‌, এত ঝামেলা! কি দরকার এসব ব্যবহারের?” – দেখুন, প্রতিটি হার্বাল জিনিসেরই যেমন উপকার আছে তেমনি ভুল ব্যবহারে অপকারও আছে। আমরা যেন শুধু সঠিক নিয়মে এবং সংযমের সাথে ব্যবহার করি, তাহলেই ভয় নেই। সহজ ভাষায় বললে: নিয়ম মেনে চালালে আয়ুষ্কারক, নয়তো বিষক্রিয়া। আকন্দ পাতা ঠিক তেমনই শক্তিশালী জিনিস।

শিশু বা গর্ভবতী নারী ব্যবহার করতে পারেন কি না?

এখন million dollar question: শিশু বা প্রেগন্যান্ট মহিলা কি এটি ব্যবহার করতে পারবেন? আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন এসে থাকে, নিশ্চিত থাকতে পারেন – একদম সঠিক জায়গায় প্রশ্ন করেছেন! কারণ এই দুই ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা দরকার। আমি সরাসরি বলে দিচ্ছি:

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য: না, অন্তত অভ্যন্তরীণভাবে তো পুরোপুরি মানা। এমনকি বাহ্যিক ব্যবহারও গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কেন? আকন্দ গাছের উপাদানগুলো গর্ভপাত ঘটাতে সক্ষম – এমনকি প্রাচীনকালে গোপনে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য এই গাছের কষ ব্যবহৃত হতো!ibnsinahealthcare.com

শুনে শিউরে উঠছেন? আমিও উঠেছিলাম, যখন প্রামাণ্য বইপত্রে এটা পড়েছি। আকন্দের কষ জরায়ুকে উত্তেজিত করে এবং মারাত্মক রকমের ইউটেরাইন সংকোচন ঘটায়, ফলে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে bn.wikipedia.org। তাই প্রেগন্যান্সির যে কোনো পর্যায়ে – শুরু থেকে শেষ অবধি – আকন্দ খাবেন না তো বটেই, পেটের ওপর সেক দিতেও মানা। কেউ কেউ হয়তো ভাববেন, বাহ্যিক ভাবে পাতা তো লাগাচ্ছি, তাতে সমস্যা কী? কিন্তু আপনার ত্বক দিয়েও কিছু পরিমাণে শোষণ হয়, আর দুর্ঘটনাবশত যদি একটু রস ঢুকে যায় শরীরে, তার ফল কিন্তু ভয়ংকর হতে পারে গর্ভের শিশুর জন্য। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় ত্বক অনেক সেনসিটিভ থাকে, কোন অ্যালার্জি রিঅ্যাকশন হলে মা-বাচ্চা দু’জনেরই ঝুঁকি।

কাজেই গর্ভবতী অবস্থায় এই হার্বাল চিকিৎসাটি এভয়েড করাই সেরা পথ। ডাক্তাররা সাফ বলে দেন – Pregnancy & lactation period-এ এটি নিরাপদ নয় easyayurveda.complanetayurveda.com। আমার পরামর্শ, সেই কথা মেনে চলুন। গর্ভাবস্থায় ব্যথা হলে নিরাপদ বিকল্প পদ্ধতি আছে (ডাক্তারি ওষুধ বা হালকা এক্সারসাইজ), সেগুলো করুন, আকন্দ দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করবেন না।

শিশুদের ক্ষেত্রে: ছোট বাচ্চা বা চাইল্ডদের জন্যও আকন্দ পাতা সাধারণত নিরাপদ নয়। বিশেষ করে একদম ছোট শিশু (যারা বোঝে না) তাদের কাছে তো গাছ-পাতা ধারে-কাছেও রাখবেন না। কেননা এই গাছের একটা উপনামই আছে “শিশুহন্তা”–অর্থাৎ শিশুর জন্য প্রাণঘাতী বিষ! bn.wikipedia.orgশুনতেই ভয় লাগে, তাই না? শিশুরা খুব সেনসিটিভ এবং ওদের শরীরের ওজন কম, অল্প একটু বিষ গেলেও মারাত্মক প্রভাব পড়ে। আকন্দ পাতার রস মুখে গেলে বা চোখে লাগলে শিশু খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো একেবারেই ব্যবহার না করাই উচিত। বড় শিশু – ধরুন ৮-১০ বছর বয়সী – তাদের ক্ষেত্রেও আমরা নিজে থেকে দেবো না। যদি কোনো আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ বলেন এবং খুব বিশেষ প্রয়োজন হয়, তবেই সামান্য বাহ্যিক ব্যবহারের কথা ভাবতে পারেন, তাও পুরো সময় তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলি, আমার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের ১০ বছরের ছেলের হাঁটুতে প্রচণ্ড চোট ছিল, সে নাকি এক পল্লীচিকিত্সকের পরামর্শে খুব সামান্য সরিষার তেল লাগানো গরম আকন্দ পাতা দিনে একবার করে কয়েকদিন দিয়েছিল – তাতে ওর একটু আরামও হয়েছিল বলে শোনা। কিন্তু এটুকু শুনেই আপনি নিজের শিশুর ওপর ট্রাই করবেন না যেন! কারণ প্রতিটি শিশুর সহ্যশক্তি আলাদা, এবং সাধারণভাবে চিকিত্সকরা শিশুদেরকে এই আকন্দ একেবারেই না দেওয়ার পরামর্শ দেনplanetayurveda.com। আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রে টেস্ট করা ডোজ় বাচ্চাদের জন্য নেই – কাজেই No established safe dose for children. ভেতরে খাওয়ানো তো একেবারেই নিষেধ (এটা আবার বলছি), বাইরে প্রয়োগের ক্ষেত্রেও প্রবল সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আমার মত, যতক্ষণ না খুব দরকার হয়, শিশুর ক্ষেত্রে ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো। বাচ্চা যদি ব্যথায় কাতর হয়, আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন; নিজে থেকে আকন্দ পাতা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে ফেলবেন না প্লিজ।

এক কথায়, গর্ভবতী মহিলা ও শিশুরা এই হার্ব থেকে দূরেই থাকুক – “নিষিদ্ধ এলাকার” মত ভাবাই উত্তম। পরিবারের কারো জন্য আকন্দ পাতা ব্যবহার করতে গেলেও এসব বিষয় খেয়াল রাখবেন: বাচ্চারা আশেপাশে থাকলে গাছটা নাগালের বাইরে রাখুন bangla.aajtak.in, ওরা যেন ভুলেও মুখে না দেয়। আমি তো নিজে আকন্দ গাছ দেখলেই চিনিয়ে দিই বাসার ছোটদের – “ওটা হাত দেবে না, বিষ আছে” – ছোটবেলায় যেমন আরেক বিষাক্ত গাছের পাতা ছুঁতে বারণ করা হতো, তেমনি একে নিয়েও সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। Prevention is better than cure, after all.

গর্ভবতী হলে আকন্দ পাতা ব্যবহারের ঝুঁকি কী কী?

উপরে গর্ভবতীদের বিষয়ে আমি মূল নিষেধাজ্ঞাটা জানিয়ে দিয়েছি। এখন ধরুন কেউ জানতে চান, ঠিক কী কী ঝুঁকি হতে পারে যদি গর্ভবতী মহিলা ভুলেও আকন্দ পাতা ব্যবহার করেন। চলুন একেবারে পয়েন্ট ধরে জেনে নেই:
  • গর্ভপাতের ঝুঁকি: আকন্দের সক্রিয় উপাদানগুলো (যেমন ক্যালোট্রপিন ইত্যাদি) ইউটেরাসের পেশীতে তীব্র সংকোচন ঘটাতে পারে bn.wikipedia.org। এর ফলে যেকোনো পর্যায়ের গর্ভাবস্থায় miscarriage হতে পারে। প্রথম ত্রৈমাসিক বা শুরুর দিকেই হোক, কিংবা শেষের দিকে প্রিম্যাচিউর লেবার ট্রিগার করে হোক – দুইভাবেই ক্ষতির আশঙ্কা। গবেষণায় পশু-প্রাণীদের ক্ষেত্রে আকন্দের নির্যাস দিলে শতভাগ গর্ভপাত লক্ষ্য করা গেছে sciencedirect.com
    । তাই ঝুঁকি বাস্তব এবং মারাত্মক।

  • ভ্রূণের বিকলাঙ্গতা বা ক্ষতি: যদি পুরোপুরি গর্ভপাত নাও হয়, তবুও আকন্দের টক্সিন ভ্রূণের বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা। গর্ভস্থ শিশুর হার্টে, স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে – কারণ এই উদ্ভিদের বিষ হৃদযন্ত্র এবং স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে en.wikipedia.org। যদিও মানবগর্ভে সরাসরি এমন স্টাডি নাই (কারণ কেউ ইচ্ছে করে তো আর প্রেগন্যান্ট মা-দের ওপর পরীক্ষা করবে না!), তবে তত্ত্বগতভাবে এটা সম্ভাব্য বিপদ।

  • মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি: গর্ভবতী অবস্থায় শরীর এমনিতেই নাজুক থাকে, ইমিউন সিস্টেম একটু ডাউন থাকে, হরমোনের তারতম্য – এর মধ্যে আকন্দের বিষক্রিয়া হলে মায়ের শরীর ভয়ানকভাবে হিট নেবে। অতিরিক্ত বমি-ডায়রিয়ায় ডিহাইড্রেশন হয়ে মা দুর্বল হয়ে যেতে পারেন, ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স নষ্ট হতে পারে, হার্টের রিদম বিঘ্নিত হতে পারে webmd.com– এসব মায়ের জীবনকেই ঝুঁকিতে ফেলবে, গর্ভের শিশুর কথা তো বাদই দিলাম।

সব মিলিয়ে, এ এক ভয়াবহ চিত্র – যা আমরা এড়িয়ে চলতেই পারি খুব সহজে, কেবল গর্ভাবস্থায় এই গাছ থেকে দূরে থেকে। যেদিন থেকে পরিকল্পনা করবেন মা হবেন, সেদিন থেকেই সতর্ক থাকুন। গর্ভবতী মা নিজে জানুন এবং আশেপাশের সবাইকেও জানান যে এই গাছ থেকে তার দূরে থাকাটা কত প্রয়োজন। আমরা কেউ চাইব না অকালে কোনো মায়ের কোল খালি হোক, তাই না?

শিশুর জন্য আকন্দ পাতার নিরাপদ মাত্রা কত?

যেমন আগেই বলেছি, শিশুদের জন্য কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই বললেই চলে। আধুনিক আয়ুর্বেদিক গ্ৰন্থেও বাচ্চাদের প্রসঙ্গে আকন্দ ব্যবহারের নির্দিষ্ট ডোজ নেই – বরং বলা আছে শিশুদের এটা না দেওয়াই ভালো planetayurveda.com। Planet Ayurveda-র ডেটাবেস ঘেঁটে দেখলাম তারা স্পষ্ট উল্লেখ করেছে: It should not be given to children. তাই আপনার যদি খুব জানার ইচ্ছে থাকে “এক ফোঁটা, দুই ফোঁটা, নাকি আধা চা চামচ?” – সে প্রশ্নই অবান্তর। শিশুদের জন্য কোনও প্রকার অভ্যন্তরীণ সেবন নিষেধ।

আর বাহ্যিক প্রয়োগের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট মাত্রা বলা মুশকিল, কারণ কারও ত্বক ৫ মিনিটও সহ্য করবে না, আবার কেউ ১০ মিনিট ঠিকঠাক থাকতে পারে – একেক জনের সহ্যক্ষমতা ভিন্ন। সাধারণ অভিভাবক হিসেবে আমাদের যা করা উচিত তা হলো, শিশুদের উপর এই গাছ এক্সপেরিমেন্ট না করা। যদি কখনও বিশেষজ্ঞ দিয়ে করাতেই হয়, তবে তিনি যেভাবে বলেন কেবল সেভাবেই সীমিত থাকবে। গাছের রসের ডোজ বড়দের জন্য ১-২ ফোঁটা পর্যন্ত ব্যবহারের কথা আয়ুর্বেদে উল্লেখ আছে planetayurveda.com(দেখে অবাক লাগল, তাই না? এত কম!) – তো বুঝতেই পারছেন ওটা বড়দের টলারেন্স, বাচ্চাদের জন্য তার চেয়ে কমই হবে, কিন্তু সেটা পরিমাপ করা প্রায় অসম্ভব। তাই আমি বলব, “না” ই বলতে হবে এই প্রশ্নের উত্তরে। শিশু মানে শিশু – তাদের নিরাপত্তাই আগে।

আপনার শিশুর যদি কোথাও ব্যথা পায় (আল্লাহ করুন লাগুক), ডাক্তার মানুষ আছেন না? তাদের কাছে নিয়ে যান, ব্যথার সিরাপ, জেল ইত্যাদি আছে বয়স অনুযায়ী – সেইগুলো ব্যবহার করুন। হার্বাল অনেক কিছু বড়রা নিতে পারে, শিশুরা পারেনা। আকন্দ সে তালিকারই একটা সদস্য। একটা মজার তথ্য দিই – আকন্দ গাছকে ইংরেজিতে আবার *“milkweed”*ও বলে, কারণ এর দুধের মতো আঠা আছে। তো শিশুদের জন্য কিন্তু সত্যিকারের দুধ (ফর্মুলা দুধ কিংবা মা-এর দুধ) – ঐটাই ভালো, এই milkweed একদমই না!একটু কৌতুক করলাম বটে, কিন্তু সিরিয়াসলি কথাটা মনে রাখবেন। একেবারে নো সেফ ডোজ ফর চিলড্রেন

আকন্দ পাতার বিষক্রিয়ার লক্ষণ শিশুর ক্ষেত্রে কেমন?

আলোচনা যখন এতদূর এসেই গেল, চলুন জেনে রাখি যদি ভুলবশত কোনও শিশুর আকন্দ পাতা বা এর রস খেয়ে ফেলে (বা খুব অসাবধানভাবে কেউ দিয়ে ফেলে), তাহলে কি কি লক্ষণ দেখা যেতে পারে। বাবা-মায়েরা সতর্ক থাকলে হয়তো একটা ছোট্ট প্রাণ রক্ষা পেতে পারে। আকন্দের বিষক্রিয়া খুব দ্রুতই লক্ষণ প্রকাশ করে – সাধারণত ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভয়ঙ্কর সব উপসর্গ দেখা দেয় pediatriconcall.com। শিশুদের ক্ষেত্রে তো আরও দ্রুত হতে পারে, কারণ ওদের মেটাবোলিজম ফাস্ট এবং শরীর ছোট। প্রধান লক্ষণগুলো হলঃ

  • মুখ ও গলায় জ্বালা-পোড়া: বাচ্চা যদি আকন্দ পাতা চিবিয়ে থাকে, তার মুখে তীব্র পোড়া পোড়া অনুভূতি হবে। গলা এবং মুখগহ্বর জ্বলতে থাকবে। শিশু হঠাৎ কান্নাকাটি শুরু করতে পারে, মুখে আঙুল দিতে পারে বা পানির জন্য ছটফট করতে পারে। খেয়াল করবেন – আঠার স্বাদ ভীষণ তিতা আর ঝাঁজালো, ওটা খেলেই বাচ্চা মুখ বিকৃত করবে নিশ্চিত। প্রচুর লালা (Salivation) ঝরতে থাকবে মুখ থেকে pediatriconcall.com। মুখের ভেতর ঘা (stomatitis) পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে কিছুক্ষণের মধ্যে।

  • পেটের সমস্যা ও বমি: আকন্দের বিষ প্রথমেই পেটের উপর আক্রমণ করে। বাচ্চার তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হবে, সাথে সাথে বমি শুরু হতে পারে pediatriconcall.com। বারবার বমি হবে, তারপর পায়খানাও হতে পারে (diarrhea)। ছোট শিশু হলে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ডিহাইড্রেশনে নেতিয়ে পড়বে। বাচ্চা অতিষ্ঠের মতো কাঁদবে পেটের জ্বালায়। এই লক্ষণ দেখলেই parents-দের alarmed হয়ে যেতে হবে – especially যদি জানেন বাচ্চা একটু আগে গাছের কাছে গিয়েছিল।

  • চোখের তারায় পরিবর্তন: বিষক্রিয়ার আরেকটা লক্ষণ হতে পারে শিশুর পিউপিল (চোখের মণি) বড় হয়ে যাওয়া বা unresponsive হওয়া pediatriconcall.com। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে dilated pupils. আপনি যদি লক্ষ্য করেন বাচ্চার চোখ অস্বাভাবিক রকম উদ্ভাসিত লাগছে বা সে আলোতে চোখ বন্ধ করছে না – বুঝতে পারেন কিছু গড়বড়। অবশ্য এটা পরীক্ষা করা প্যারেন্টসদের জন্য কঠিন হতে পারে, কিন্তু ডাক্তাররা পরে খেয়াল করেন।

  • খিঁচুনি ও স্নায়বিক সমস্যা: মারাত্মক মাত্রায় ingest করলে শিশু টিটানাসের মতো খিঁচুনিতে (tetanic convulsions) যেতে পারে pediatriconcall.com
    । হাত-পা কামড়ানো, ঝাঁকুনি দেওয়া শুরু হতে পারে। বাচ্চা জ্ঞান হারাতে পারে বা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শ্বাসপ্রশ্বাসও বন্ধ হওয়ার দিকে যেতে পারে খিঁচুনির পর। এটি একদম end-stage লক্ষণ, যেখানে অবস্থা গুরুতর বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।

  • কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা মৃত্যু: যদি খুব বেশি পরিমাণ বিষ ঢুকে যায়, হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক ছন্দ ভেঙে যেতে পারে (arrhythmia) এবং হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে যেতে পারে en.wikipedia.org
    । শিশু মাত্রাতিরিক্ত দুর্বল হয়ে নিস্তেজ পড়ে যাবে, পালস মিলানো কঠিন হবে। সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু ঘটতে পারে। আকন্দের বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও কিন্তু লিটারেচারে আছে, দুঃখজনকভাবে।

উফ্, এতোসব লিখতেই বুকটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠছে আমাদের সোনামণিদের কথা ভেবে… এত ভয়াবহ পরিণতি চাই না কেউ। তাই আমাদের সবার উচিত এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা। যদি মনে হয় বাড়ির ছোট্টটি আকন্দের মত কিছু মুখে দিয়েছিল (অনেক সময় বাচ্চারা তো পাতা-ফুল চিবিয়ে দেখে কেমন লাগে!), বা এমনকি সন্দেহ হয় – দেরি না করে লক্ষণের অপেক্ষা না করেই দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। পরের অংশে বলছি কি করবেন। মনে রাখবেন, শিশুদের ক্ষেত্রে সময় নষ্ট করা চলবে না – every minute counts!

শিশুর আকন্দ পাতার বিষক্রিয়া সন্দেহ হলে কোন বিশেষ টেস্ট করতে হবে?

ধরুন দুর্ভাগ্যবশত সন্দেহ হচ্ছে আপনার বাচ্চা আকন্দ পাতার রস বা অংশ খেয়ে ফেলেছে – এখন কী করবেন এবং কোনো বিশেষ পরীক্ষা (test) দরকার আছে কিনা সেটা জানা জরুরি। প্রথমেই বলি, ঘরে বসে কেউ টেস্ট করে বের করতে পারবে না যে কী পরিমাণ বিষ গেছে – তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে যান। জ্বী হ্যাঁ, একদম দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বা শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে ছুটে যাবেন। এরকম অবস্থায় বাড়িতে “দেখি কী হয়” বলে অপেক্ষা করা বিপজ্জনক। হাসপাতালের পরিবেশই হলো সেই “টেস্ট” যেখানে বাচ্চাকে অবজারভেশনে রাখা হবে।

ডাক্তারকে স্পষ্ট করে বলবেন, “আমার বাচ্চা সম্ভবত আকন্দ গাছের কিছু খেয়ে ফেলেছে” – এই তথ্যটা তারা পেলে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন। সাধারণত এমন বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতালে যা করা হয়:
  • শরীর থেকে বিষ বের করা: বাচ্চাকে দ্রুত উল্টে বমি করানোর চেষ্টা করা হতে পারে (যদি ইতিমধ্যে বমি না হয়ে থাকে), অথবা নল ঢুকিয়ে পাকস্থলী পরিষ্কার করা হতে পারে – যাকে বলে Stomach wash or গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজpediatriconcall.com। এতে পেটের ভিতরে যা আছে বেরিয়ে আসে। এছাড়া বিষের কড়া ভাব কমাতে সম্ভব হলে হয়তো Charcoal খাওয়ানো হবে (একধরনের কয়লা চূর্ণ, যেটা বিষ শুষে নেয়)। এগুলো ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেবেন।

  • প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা: নির্দিষ্ট কোনো সিংগেল টেস্ট নেই যা রক্তে আকন্দের টক্সিন মাপতে পারে ঘরে ঘরে। তবে হাসপাতালে হয়তো ইলেক্ট্রোলাইটের জন্য রক্ত পরীক্ষা, কিডনি-লিভার ফাংশন টেস্ট, এমনকি ECG (হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা) করা হতে পারে যদি পরিস্থিতি গুরুতর হয়। আমি পড়েছি আকন্দের বিষ digitalis জাতীয় হার্টের ওষুধের মতো কাজ করে, তাই হার্টবিট স্লো বা অনিয়মিত হতে পারেwebmd.com
    – সেটা মনিটর করতে EKG/ECG করা দরকার পড়তে পারে। এছাড়া রক্তচাপ, অক্সিজেন লেভেল সব চেক হবে। কিন্তু এমন নয় যে একটা বিশেষ ল্যাব টেস্ট আছে যেটা বলে দেবে “হ্যাঁ, আকন্দ বিষক্রিয়া” – আসলে ক্লিনিক্যাল লক্ষণ দেখেই ধারণা করা হয় এবং সেইমতো ব্যবস্থা নেয়া হয়।

  • সমর্থনমূলক চিকিৎসা: ডাক্তারেরা বাচ্চার অবস্থা দেখে দরকারমতো স্যালাইন দেবেন ডিহাইড্রেশন সামলাতে, খিঁচুনি হলে অ্যান্টি-সিজ়ার ওষুধ দেবেন, হার্টের অসামঞ্জস্য ঠিক করতে অ্যাট্রোপিন বা সে জাতীয় কিছু দিতে হতে পারে – অর্থাৎ Symptomatic treatment চলবেpediatriconcall.com। এক কথায়, যা যা উপসর্গ বাচ্চার হচ্ছে সেগুলো সামলে স্থিতিশীল করা হবে। ভাগ্য ভালো থাকলে ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধীরে ধীরে বিপদ কেটে যাবে। এরপর কয়েকদিন হয়তো লিভার-কিডনি ফলোআপ করার জন্য রক্ত টেস্ট রিপিট করতে হতে পারে, কিন্তু মূল আতঙ্কটা কাটবে।

আপনার কাজ হবে পুরোপুরি মেডিক্যাল টিমের সাথে সহযোগিতা করা, এবং বিষের সোর্স সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য দেওয়া। আকন্দ পাতা খেয়েছে – এটা বললে কিন্তু সময় বাঁচবে অনেক, ডাক্তাররা তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করতে পারবেন। অনেক সময় পেরেন্টস লজ্জায় বলতে চান না বাচ্চা কি খেয়েছে, এতে লাভ নেই – বরং সত্য বললে জীবনটা রক্ষা পাবে। Poison Control center বলে যদি আপনার দেশে আলাদা কিছু থাকে, তাতেও ফোন করতে পারেন সাথে সাথে (বাংলাদেশে মূলত সরকারি মেডিক্যালেই এই সাপোর্ট দেয়)। একটা জিনিস মাথায় রাখবেন – আকন্দ বিষের কোনো বিশেষ অ্যন্টিডোট নেই যে ইনজেকশন দিলেই ঠিক হয়ে যাবে, যত্ন আর সাপোর্টিভ চিকিৎসাতেই ভরসা। তাই শুরুতেই ঠেকাতে পারা (প্রিভেনশন) আর বিপদ হলে তাড়াতাড়ি একশন নেয়াই উত্তম পদক্ষেপ।

সুতরাং, “বিশেষ টেস্ট” এর চেয়ে বরং বলবো “বিশেষজ্ঞের হাতে দ্রুত চিকিৎসা” – এটাই বাচ্চার জন্য করণীয়। এবং আল্লাহ্‌ না করুক কখনও এমন পরিস্থিতি আসে, তখন নিজেকে দোষারোপ না করে শিশুকে ভালো করার দিকে ফোকাস দেবেন। পরে অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্য প্যারেন্টদের জানাবেন (যেমন আমি আপনাদের জানাচ্ছি এখন), যাতে আর কারো এমন ক্ষতি না হয়।

আমার আজকের আলোচনা একটু দীর্ঘ হয়ে গেল বোধহয়, কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্রে রেখে সবদিক চেষ্টা করলাম কভার করতে। আকন্দ পাতা, আমাদের আশেপাশের পরিচিত একটা উদ্ভিদ, কতভাবে উপকারে লাগতে পারে আর কী কী ক্ষতিও করতে পারে – দুটো দিকই খোলামেলা আলোচনা করলাম। আমি চেষ্টা করেছি ব্যাপারটা আপনাদের সাথে একেবারে গল্পের ছলে, নিজের অভিজ্ঞতা আর আবেগ জড়িয়ে শেয়ার করতে। আশা করি আপনাদের উপকারে এসেছে, অন্তত কিছু নতুন তথ্য জেনেছেন। দিনে দিনে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছি ঠিকই, গুগল আছে হাতের কাছে – কিন্তু আমার বিশ্বাস আমাদের চারপাশের প্রকৃতির এমন গুপ্ত ক্ষমতাগুলো জানা আর সঠিকভাবে ব্যবহার করার মজাই আলাদা। সেইসঙ্গে, Google-এর নতুন নীতিমালা যেটাই হোক না কেন, কনটেন্ট তখনই সেরা যখন সেটা পাঠকের কাজে লাগে, তথ্যবহুল হয় এবং বিশ্বস্ত হয় – আমি সবসময় তাই মনে করি। তাই নিজের জানা জিনিস আপনারদের জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। আমাদের ব্লগের মূলমন্ত্র যেটা, আবার মনে করিয়ে দিই: “নিজে জানুন, অন্যকে জানান।” এই লেখাটাও তারই প্রতিফলন। আমি জানলাম আকন্দ পাতা সম্পর্কে (সত্যি বলতে অনেক কিছু নতুন শিখেছি লিখতে গিয়ে), এখন আপনাদের জানালাম। আপনারাও আশেপাশের মানুষকে সাবধান করতে পারেন এই তথ্যগুলো দিয়ে। আবার যারা ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কমাতে চান, তারাও সচেতনভাবে এটা ট্রাই করতে পারেন – কিন্তু সাবধানতার সমস্ত কথাগুলো মনে রেখে তবেই করবেন। শরীরের ব্যথা দূর করতেও যেমন আকন্দ পাতা আছে আমাদের হাতের কাছে, তেমনি ভুলভ্রান্তি দূর করার জন্যও আছে সঠিক জ্ঞান। তাই ভুল কিছু মনে থাকলে এই আর্টিকেলটা পড়ে সংশোধন করুন, আর যদি ভালো লেগে থাকে তবে শেয়ার করুন আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে। Stay safe, stay informed! আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তী পোস্টে আবার নতুন তথ্য বা টিপস নিয়ে হাজির হবো। ততদিন ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

ভালবাসা সহ,
একজন কৌতূহলী মানুষ (যে নিজের জানাকে সবার জানায়)।

জ্বী, আজ এখানেই শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য। আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান, আমি যথাসম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। ♡

আবার দেখা হবে, সে পর্যন্ত আকন্দ পাতা আর ব্যথা নিয়ে আরো জানুন, আর অন্যকেও জানাতে ভুলবেন না! 👍

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url