কতটুকু সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হয়
কতটুকু সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হয়।কোরবানি দেওয়ার জন্য যে পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে তাকে "নিসাব" বলা হয়। নিসাব হলো:
- সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি স্বর্ণ (প্রায় ৮৭.৪৮ গ্রাম)
- অথবা সাড়ে ৫২.৫ ভরি রুপা (প্রায় ৬১২.৩৬ গ্রাম)
- অথবা এদের সমমূল্যের টাকা বা অন্যান্য সম্পদ
যে কোনো একটিতে যদি এই পরিমাণ সম্পদ থাকে, বা একাধিক সম্পদ মিলে এই সমপরিমাণ হয়, তবে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হয়[4][5][7][6]।
এছাড়া, কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রয়োজন:
- প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, মুসলিম ব্যক্তি হতে হবে
- মুকিম (অর্থাৎ স্থায়ী বাসিন্দা) হতে হবে
- জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে নিসাব পরিমাণ সম্পদ মালিকানাধীন থাকতে হবে[1][3][5]
সরলভাবে বলতে গেলে, পরিবারের দৈনন্দিন খরচ বাদ দিয়ে যদি এই নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে কোরবানি দেওয়া বাধ্যতামূলক।
বর্তমানে রুপার বাজারদর অনুযায়ী প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকা বা তার বেশি সম্পদ থাকলেই কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হতে পারে[5][7][6]।
Citations
- [1]কোরবানি কী, কতটুকু সম্পদ থাকলে দিতে হবে
- [2] এ বছর কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হবে?
- [3] কতটুকু সম্পদের মালিক হলে কুরবানি ওয়াজিব
- [4] কতটুকু সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হয়? - The Daily Ittefaq
- [5] যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি ওয়াজিব - Dhaka Tribune Bangla
- [6] কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে - Jagonews24
- [7] কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে? - Bangla Tribune
- [8] কত টাকা হলে কোরবানি ওয়াজিব হয় - Dhakatimes24
- [9] কুরবানীর ফাযায়েল ও মাসায়েল - মাসিক আলকাউসার
কতটুকু সম্পদ থাকলে আমার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে
আপনার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে যখন:
- আপনি প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, মুসলিম ও মুকিম (অর্থাৎ স্থায়ী বাসিন্দা) হবেন।
- জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে আপনার কাছে পরিবারের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহের খরচ বাদ দিয়ে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকবে।
- নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে কেবল কুরবানি দিতে পারবে।
যদি আপনার কাছে স্বর্ণ, রুপা বা টাকা-পয়সার কোনো একটির নিসাব পরিমাণ না থাকে, তবে একাধিক সম্পদ মিলে যদি সাড়ে ৫২.৫ ভরি রুপার সমমূল্যের অর্থ হয়, তবুও কোরবানি আপনার ওপর ওয়াজিব হবে।
বর্তমানে বাজারদর অনুযায়ী সাধারণত ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে নিসাবের পরিমাণ হয়। অর্থাৎ, পরিবারের খরচ বাদ দিয়ে যদি এই পরিমাণ বা তার বেশি সম্পদ আপনার কাছে থাকে, তাহলে কোরবানি দেওয়া বাধ্যতামূলক[1][2][3][5][6]।
Citations
- [1]কতটুকু সম্পদ থাকলে কোরবানি দিতে হয়? - The Daily Ittefaq
- [2]কোরবানি কী, কতটুকু সম্পদ থাকলে দিতে হবে - কালের কণ্ঠ
- [3]কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে - Jagonews24
- [4]কোরবানি কখন, কার ওপর ওয়াজিব - Somoy Tv
- [5]কোরবানি যাদের ওপর ওয়াজিব - The Daily Ittefaq
- [6]কত টাকা থাকলে কোরবানি ওয়াজিব হয়? - Dhaka Mail
- [7]কোরবানি কাদের ওপর ওয়াজিব? - banglanews24.com
- [8]কী পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে কোরবানি ওয়াজিব হয়? - Jugantor
কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কত টাকা বা স্বর্ণের পরিমাণ দরকার
কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য আপনার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে, যা হলো:
- এটি হলো সোনা, রূপা বা তাদের সমমূল্যের টাকার পরিমাণ। উদাহরণস্বরূপ, সাড়ে ৭ ভরি সোনা বা ৫২.৫ ভরি রুপার বাজারমূল্য সমান টাকা বা অন্য কোনো সম্পদ হতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) হিসাব অনুযায়ী, ৫২.৫ ভরি রুপার মূল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু এবং সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের মূল্য প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ, পরিবারের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহের খরচ বাদ দিয়ে জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে এই পরিমাণ বা তার বেশি সম্পদ থাকলে কোরবানি আপনার ওপর ওয়াজিব হবে।
স্বর্ণের নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকলে কোরবানি ওয়াজিব হয় কি
হ্যাঁ, নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ থাকলে কোরবানি ওয়াজিব হয়। কোরবানির নিসাব হলো সাড়ে ৭ (৭.৫) ভরি স্বর্ণ বা তার সমমূল্যের টাকা বা অন্যান্য সম্পদ।
উদাহরণস্বরূপ, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির দাম যদি ৭২ হাজার টাকা ধরে নেওয়া হয়, তাহলে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম হবে প্রায় ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ক্ষেত্রে এই মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা হতে পারে।
অর্থাৎ, জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যদি আপনার কাছে এই পরিমাণ বা তার বেশি স্বর্ণ বা তার সমমূল্যের টাকা থাকে, তবে আপনার ওপর কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হবে।
এছাড়া, স্বর্ণ না থাকলেও রুপা বা অন্যান্য সম্পদ মিলিয়ে নিসাবের সমপরিমাণ থাকলে কোরবানি ওয়াজিব হয়।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url