কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ৫ চমকপ্রদ আবিষ্কার ২০২৫
২০২৫ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের জীবনে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এটি মানব জীবনের নানা দিক যেমন স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহন, শিক্ষা, সৃজনশীলতা ও সাইবার নিরাপত্তাকে পরিবর্তন করছে। এআই প্রযুক্তি মানুষের কাজকে সহজ করে দিচ্ছে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে এবং দৈনন্দিন জীবনের জটিলতাগুলো কমাচ্ছে। এই প্রযুক্তির নতুন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আমাদের জীবনকে আরও সুরক্ষিত, উন্নত ও সুবিধাজনক করে তুলবে, যা আগামী প্রজন্মের জন্য এক নতুন বিশ্ব গড়ে তুলবে।
২০২৫ সালে “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ৫টি চমকপ্রদ আবিষ্কার” যা আমাদের জীবনকে বদলে দেবে-
- ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা আবিষ্কার ও বর্ণনা - AI আপনার শরীরের ডাটা বুঝে আপনাকে একান্ত ডাক্তারের মতো চিকিৎসা দেবে; দ্রুত রোগ শনাক্ত ও নতুন ওষুধ তৈরি করবে, স্মার্ট গ্যাজেট দিয়ে বাড়িতে বসেই স্বাস্থ্য নজরদারি সম্ভব করবে।
- চালকবিহীন গাড়ির উন্নয়ন আবিষ্কার ও বর্ণনা - শহরের জটিল ট্রাফিকে চালকবিহীন গাড়ি দক্ষতার সাথে চলবে, দুর্ঘটনা কমাবে, যানজট হ্রাস করবে ও পরিবেশবান্ধব হবে।
- শিক্ষায় বিপ্লব আবিষ্কার ও বর্ণনা - AI প্রতিটি ছাত্রের শেখার ধরন বুঝে আলাদা শিক্ষণ পদ্ধতি তৈরি করবে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর প্রশ্ন-উত্তর সহজ করবে, অনলাইনে শিক্ষা সবার জন্য সহজ ও সমান করবে।
- সৃষ্টিশীলতার নতুন মাত্রা আবিষ্কার ও বর্ণনা - AI নতুন গান, ছবি, কবিতা ও সিনেমার গল্প তৈরিতে সক্ষম হবে, যা মানুষের মতো আবেগ প্রকাশ করবে এবং শিল্পীদের নতুন ধারণা দেবে।
- সাইবার নিরাপত্তার রক্ষাকর্তা আবিষ্কার ও বর্ণনা - AI দ্রুত নতুন সাইবার হামলা শনাক্ত ও প্রতিরোধ করবে, সন্দেহজনক নেটওয়ার্ক কার্যকলাপ খুঁজে বের করবে এবং ডিজিটাল তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
এই পাঁচটি আবিষ্কার ২০২৫ সালে মানবজীবনের স্বাস্থ্য, যাতায়াত, শিক্ষা, সৃজনশীলতা এবং সাইবার নিরাপত্তায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে এবং আমাদের জীবনকে আরও সহজ, নিরাপদ ও উন্নত করবে[1].
- [1] buddhimatra
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ভূমিকা ব্যাপক এবং পরিবর্তনশীল। AI টেকনোলজি এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। AI এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে উন্নত হচ্ছে, তার মূল পয়েন্টগুলো হলো-
- ডাটা বিশ্লেষণ ও রোগ শনাক্তকরণ - AI সিস্টেম বিশাল পরিমাণ স্বাস্থ্যগত ডাটা দ্রুত বিশ্লেষণ করে যেমন এমআরআই, এক্সরে বা ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট, যা চিকিৎসকদের রোগ সঠিক ও সময়োপযোগী ভাবে শনাক্ত করতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ ক্যানসার শনাক্তকরণে AI প্রযুক্তি চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়ক।
- ভর্তি ও চিকিত্সা পরিকল্পনার স্বয়ংক্রিয়তা - AI সাহায্যে রোগীর পূর্ণ ইতিহাস ও শারীরিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা পরিকল্পনা করা যায় যা রোগীর শারীরিক অবস্থার সাথে সর্বোত্তম মিল থাকে।
- ভবিষ্যদ্বাণীমূলক স্বাস্থ্যমডেল - ব্যক্তির বায়োমেট্রিক্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যতথ্যের ভিত্তিতে AI সম্ভাব্য রোগের পূর্বাভাস দেয়, ফলে প্রাথমিক সতর্কতা ও রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়।
- ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য সহকারী - Siri, Google Assistant-এর মতো AI-ভিত্তিক ভার্চুয়াল সহকারী বা চ্যাটবটগুলি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরামর্শ, ড্রাগ রিমাইন্ডার, ডায়েট ও ব্যায়াম পরামর্শ প্রদান করে।
- স্বাস্থ্যসেবার সহজলভ্যতা - AI প্রযুক্তির মাধ্যমে দূরবর্তী অঞ্চলেও টেলিমেডিসিন এবং স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা গ্রাহক সহজে পেতে পারেন।
- নতুন ওষুধ আবিষ্কার ও গবেষণা - AI ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে দ্রুত নতুন ওষুধের প্রচলন ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে, যা দ্রুত রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করতে সাহায্য করে।
সংক্ষেপে, AI প্রযুক্তি স্বাস্থ্যখাতে রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা, ব্যক্তিগতকৃত স্বাস্থ্যসেবা, ভার্চুয়াল সহায়তা এবং নতুন ওষুধ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে, যা জীবনের গুণগতমান ও সফলতা বাড়াতে সহায়ক[1][2][5][7]।
- [1] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
- [2] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে যা জানা দরকার
- [3] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী? (জ্ঞানমূলক)
- [4] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বই
- [5] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী, কীভাবে কাজ করে
- [6] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
- [7] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)
- [8] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লেখক : ড. মোঃ আল-আমিন ভূঁইয়া
- [9] বাংলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্যাকেজ(হার্ডকভার) by রকিবুল হাসান
- [10] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা, অসুবিধা গুলি কি ২০২৫ - What is Artificial Intelligence in Bangla 2025
চালকবিহীন গাড়ির উন্নয়ন
চালকবিহীন গাড়ির উন্নয়ন ও তার কার্যপদ্ধতি -
চালকবিহীন গাড়ি বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা মানুষের সাহায্য ছাড়াই নিজেই চলাচল এবং সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। এতে সেন্সর, ক্যামেরা, রাডার, লিডার ও জিপিএস ব্যবহার করে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে গাড়ির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অনবোর্ড কম্পিউটার এই তথ্য প্রক্রিয়া করে স্টিয়ারিং, ব্রেকিং ও ত্বরণ নিয়ন্ত্রণের আদেশ দেয়[6][10]।
কেন চালকবিহীন গাড়ি গুরুত্বপূর্ণ এবং এর সুবিধাসমূহ
- দুর্ঘটনা কমানো - গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অনেক দুর্ঘটনার মূল কারণ মানুষের ভুল, যেমন ক্লান্তি, রাগ, অসতর্কতা বা মাতলামি। চালকবিহীন গাড়ি ক্লান্ত হয় না, আবেগহীন ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যার ফলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব[1]।
- পরিবহন নিরাপত্তা বৃদ্ধি - AI ও উন্নত সেন্সর প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে; এটি মানুষের সাধারণ ভুল থেকে সড়ক নিরাপদ করে তোলে।
- ট্রাফিকের সমস্যা হ্রাস - চালকবিহীন গাড়ি সঠিক গতিমান এবং দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে যানজট কমাতে সাহায্য করবে[6][8]।
- আন্তর্জাতিক উন্নয়ন - যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কয়েকটি দেশে চালকবিহীন গাড়ির পরীক্ষামূলক অনুমতি ও ব্যবহার শুরু হয়েছে[3]।
- বাণিজ্যিক প্রয়োগ - গুগল (অ্যালফাবেটের ওয়েমো), ইনটেল, টেসলা, ভলভো, জেনারেল মোটরস, হোন্ডাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে চালকবিহীন গাড়ি বাজারজাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে[2]।
- বাংলাদেশেও উন্নয়ন - শাবি কর্তৃক চালকবিহীন গাড়ি উদ্ভাবন এবং স্থানীয় রোড পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই প্রযুক্তি উন্নয়ন চলছে[9]।
- নতুন প্রয়োগ-সাম্প্রতিককালে চালকবিহীন ডেলিভারি ভ্যান তৈরি হয়েছে, যা মানুষের হাত ছাড়াই পণ্য সরবরাহ করবে[7]।
সার্বিকভাবে, চালকবিহীন গাড়ির উন্নয়ন রাস্তা দুর্ঘটনা কমানো, নিরাপত্তা বৃদ্ধি, যানজট হ্রাস এবং পরিবহনে আধুনিকীকরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। আগামী কয়েক বছরেই এই প্রযুক্তি ব্যাপকহারে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে[1][2][6][8]।
- [1] চালকবিহীন গাড়ি কি সত্যিই সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারবে?
- [2] চালকবিহীন গাড়ি চলে কীভাবে?
- [3] চালকবিহীন গাড়ি
- [4] আগামী দিনের প্রযুক্তি: চালকবিহীন গাড়িতে পণ্য যাবে বাড়িতে
- [5] চালক ছাড়া গাড়ি চলার প্রযুক্তি উদ্ভাবন
- [6] প্রযুক্তির চমক চালক বিহীন গাড়ি
- [7] এবার আসছে চালকবিহীন ডেলিভারি ভ্যান
- [8] চালক ছাড়াই চলবে গাড়ি
- [9] চালকবিহীন 'অটোমামা’ গাড়ি উদ্ভাবনে সফল হলো শাবির এক দল শিক্ষার্থী!
- [10] চালকবিহীন গাড়ি
শিক্ষায় বিপ্লব
২০২৫ সালে শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ব্যবহারে বিপ্লব ঘটছে যা শিক্ষাকে অনেক বেশি ব্যক্তিগতকৃত, দক্ষ এবং সহজবোধ্য করে তুলছে। এর মূল সুবিধাসমূহ হলো-
- ব্যক্তিগত শেখার অভিজ্ঞতা - AI শিক্ষার্থীদের শেখার ধরন, আগ্রহ ও দুর্বলতা বুঝে তাদের জন্য বিশেষভাবে কাস্টমাইজড কোর্স তৈরি করে, যা প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রয়োজন অনুযায়ী শেখার গতি বাড়ায় এবং ফলপ্রসূ করে তোলে।
- শিক্ষকের সহায়ক - AI শিক্ষকদের জন্য পাঠ পরিকল্পনা তৈরি, ছাত্রদের দুর্বলতা নির্ধারণ ও সরাসরি মতামত প্রদানসহ অনেক কাজ সহজ করে, ফলে শিক্ষকরা বেশি কার্যকরভাবে শিক্ষাদানে মনোনিবেশ করতে পারেন।
- চ্যাটবট ও ভার্চুয়াল সহকারী - শিক্ষার্থীরা যে কোনও সময় প্রশ্ন করতে পারে, সাহায্য পেতে পারে এবং ক্যাম্পাস বা কোর্স সম্পর্কিত তথ্য দ্রুত জানতে পারে। বিশেষ চাহিদাপূর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য AI অতিরিক্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়ন -MCQ বা অন্যান্য পরীক্ষা শুরুর থেকে সমাধান দেওয়া পর্যন্ত AI দ্রুত ও নিখুঁত ফলাফল প্রদান করে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের দ্রুত ফিডব্যাক মিলছে।
- শিক্ষার অ্যাক্সেস ও সমতা - দূরবর্তী অঞ্চলেও শিক্ষার্থীরা AI ভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা পেতে পারছে, যা শিক্ষায় বৈষম্য কমায়।
- ভবিষ্যতের প্রস্তুতি - গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে AI শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতির বিকাশ ঘটাচ্ছে, যেগুলো শিক্ষাকে আরো আধুনিক ও কার্যকর করে তুলবে।
- নৈতিকতা ও নিয়ন্ত্রণ - যদিও AI অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে, UNESCO-এর নির্দেশিকা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মাধ্যমে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যক্তিগতকরণ, দক্ষতা বৃদ্ধি, সহজলভ্যতা ও স্বয়ংক্রিয়তার ফলে “শিক্ষায় বিপ্লব” আসছে, যা আগামীর শিক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত করবে[2][3][7][8][10]।
- [1] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
- [2] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শিক্ষা কেন প্রয়োজন
- [3] শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার
- [4] What Is AI? | Learn all about artificial intelligence
- [5] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)
- [6] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী এবং কেন?
- [7] শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
- [8] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
- [9] শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ
সৃষ্টিশীলতার নতুন মাত্রা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে সৃষ্টিশীলতার নতুন মাত্রা নিয়ে ২০২৫ সালের প্রেক্ষাপটে বলা যায় -
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন কেবল স্বয়ংক্রিয় ও গণনামূলক কাজেই নয়, বরং নতুন সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রেও প্রবেশ করেছে। উদাহরণস্বরূপ, AI এখন নতুন গান লেখা, ছবি অঙ্কন, কবিতা তৈরি, সিনেমার গল্প রচনা, এমনকি ডিজাইন ও শিল্পকলা তৈরি করতে সক্ষম[1][5]।
- AI-এর উন্নত “মেশিন লার্নিং” ও “গভীর শিক্ষণ (Deep Learning)” পদ্ধতির কারণে পূর্বের বিশাল ডেটার উপর ভিত্তি করে নতুন ও মৌলিক সৃষ্টিসমূহ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে যা মানুষের মতো আবেগ ও প্রতিক্রিয়া প্রতিধ্বনিত করে[6]।
- সৃষ্টিশীলতার ক্ষেত্রে AI মানুষের সহযোগী হিসেবে কাজ করে; যেমন শিল্পীরা AI-এর সাহায্যে তাদের সৃজনশীলতা আরো বিস্তৃত করতে ও নতুন ধারণার অন্বেষণে সক্ষম হচ্ছেন। AI দিয়ে দ্রুত এবং বহুমাত্রিক আইডিয়া উদ্ভাবন সহজ হয়েছে[1][7]।
- AI সৃষ্টিশীলতায় “বুদ্ধিমত্তার নতুন স্তর” উন্মোচিত করছে, যেখানে যন্ত্র নিজে বুঝে তৈরি করছে নতুন আর্ট ও কন্টেন্ট, যা আগে ছিল শুধুমাত্র মানুষের একচেটিয়া। ফলে শিল্পকলা, মিডিয়া ও ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির গতি ও মান বৃদ্ধি পাচ্ছে[1][5]।
- এই প্রযুক্তি শিক্ষার সৃজনশীলতা, বিনোদন শিল্প, বিজ্ঞাপন, গেমিং, ডিজাইন এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রেও বিপ্লব ঘটাচ্ছে, যেখানে AI কনটেন্ট তৈরি, উন্নয়ন ও বিশ্লেষণে সহায়তা করছে[2][9]।
সার্বিকভাবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে সৃষ্টিশীলতার নতুন মাত্রা এসেছে যা পূর্বে কল্পনাতীত ছিল এবং এটি মানুষের সৃজনশীল ধারাকেই প্রসারিত ও উন্নত করছে[1][3][6]। এই প্রযুক্তি আগামীর শিল্প-সংস্কৃতি ও সৃজনশীল ক্ষেত্রের গঠনমূলক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
- [1] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
- [2] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী এবং কেন?
- [3] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাখ্যা কর। (অনুধাবন)
- [4] What Is AI? | Learn all about artificial intelligence
- [5] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী, কীভাবে কাজ করে
- [6] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)
- [7] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : সুযোগ, সুবিধা এবং হুমকি
- [8] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
- [9] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটা বুদ্ধিমান হয়েছে, তা জানতে পরীক্ষার উদ্যোগ
- [10] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস
সাইবার নিরাপত্তার রক্ষাকর্তা
২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এক শক্তিশালী রক্ষাকর্ত “ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। AI মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে অনুকরণ করে সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয় [1][2]। সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে AI-এর ভূমিকা নিম্নরূপ -
- দ্রুত সাইবার হামলা শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ - AI প্রযুক্তি তার বিশাল ডেটাবেস ও অ্যালগরিদম ব্যবহার করে অস্বাভাবিক নেটওয়ার্ক কার্যকলাপ, ম্যালওয়্যার বা ফিশিং আক্রমণ দ্রুত শনাক্ত করতে পারে [5][6]। মানুষ যে গতিতে এই ধরনের হামলা শনাক্ত করতে পারবে না, AI তার চেয়ে অনেক দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে।
- সন্দেহজনক কার্যকলাপ খুঁজে বের করা - AI সিস্টেম ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে এবং সন্দেহজনক প্যাটার্ন চিহ্নিত করে। এটি সাইবার অপরাধীদের প্রবেশাধিকার বা তথ্য চুরির প্রচেষ্টা শনাক্ত করতে অত্যন্ত কার্যকর।
- স্বয়ংক্রিয় প্রতিক্রিয়া ও প্রতিরোধ - AI কেবল শনাক্তই করে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেক সাইবার হামলা প্রতিরোধও করতে পারে। এটি হুমকির ধরন বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম, যেমন: অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বা আক্রান্ত সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখা।
- ভার্চুয়াল সহকারী ও নিরাপত্তা পরামর্শ - AI-ভিত্তিক ভার্চুয়াল সহকারী নতুন নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে এবং সেগুলোর সমাধান বাতলে দিতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষায় সহায়তা করে [1]।
- ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস - AI ডেটা বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য সাইবার ঝুঁকির পূর্বাভাস দিতে পারে এবং নিরাপত্তা দুর্বলতা চিহ্নিত করতে পারে, যা আগে থেকেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করে [5]।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সক্ষমতাগুলি সাইবার জগতে ডেটার সুরক্ষা এবং নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ নিশ্চিত করতে জরুরি, বিশেষ করে যখন সাইবার আক্রমণ প্রতিনিয়ত আরও জটিল হচ্ছে [4]।
কাজীআরিফুল ডট কমে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url